কোন ক্ষমতায় চীন মাসুদ আজাহার কে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষনায় বাধা দিচ্ছে?
Admin - March 14, 2019 -
দেশের নিউজ, ব্রেকিং নিউজ
কোন ক্ষমতায় চীন মাসুদ আজাহার কে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষনায় বাধা দিচ্ছে?
টু'ডে বেঙ্গলি নিউজ : আপনি হয়তো ভাবছেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, রাশিয়ার সম্মতি থাকার পরেও চীন কোন ক্ষমতাবলে, মাসুদ আজাহার কে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষনায় বাধা দিচ্ছে? এর একটিই উত্তর সেটি হল 'ভিটো' ক্ষমতা। অনেকেই হয়তো 'ভিটো ( VETO) ' ক্ষমতা সম্পর্কে জানেন, কিন্তু যারা জানেন তারা জেনে নিন, 'ভিটো' ক্ষমতা কি?
রাস্ট্রপুঞ্জের ৬ টি বিভাগের মধ্যে একটি হল সুরক্ষা পরিষদ। এই সুরক্ষা পরিষদের কাজ হল, সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুরক্ষা দেখভাল করা, যুদ্ধের পরিবেশ তৈরী না করা, সন্ত্রাসবাদী কার্যকালাপ কে বন্ধ করা, বিভিন্ন দেশের যে সীমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঝামেলা, সব কিছু সুরক্ষা বিষয় দেখাশোনা করা। এই সুরক্ষা পরিষদের ১৫ টি সদস্য দেশ আছে। তার ভেতর ৫ টি স্থায়ী সদস্য এবং ১০ টি অস্থায়ী সদস্য দেশ। ৫ টি স্থায়ী সদস্য দেশ গুলি হল - আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও চীন। এই ৫ টি দেশ 'Big 5 ' বা, 'Pi 5 ' নামে পরিচিত। সুরক্ষা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ কখনও পরিবর্তন হয় না। কিন্তু অস্থায়ী সদস্য দেশ গুলি পরিবর্তন হতে পারে । আমাদের ভারতবর্ষ অস্থায়ী সদস্য দেশ গুলির মধ্যে আছে। এমন কি, কোরিয়া, জার্মানি, জাপানের মত শক্তিশালী দেশ গুলিও অস্থায়ী সদস্যের মধ্যে। এখন প্রশ্ন হল ওই ৫ টি দেশ কেন স্থায়ী সদস্য ?
আরও পড়ুন : সাবধান হয়ে যান ! অনলাইন জব পোর্টালে প্রতরনা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাস্ট্রপুঞ্জ সুরক্ষা পরিষদ তৈরী করে। এবং বিশ্বের সব থেকে শক্তিধর দেশ হিসেবে সুরক্ষা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ হিসেবে ওই ৫ টি দেশকে বিবেচিত করা হয়। যারা সারা বিশ্বের সুরক্ষা বিষয় কে দেখভাল করে। আর এই ৫ টি দেশের কাছেই আছে 'ভিটো' ক্ষমতা। 'ভিটো' কি? 'ভিটো' হল সেই ক্ষমতা, যেটির মাধ্যমে সুরক্ষা পরিষদের কোনো স্থায়ী সদস্য দেশ, রাস্ট্রপুঞ্জের যেকোনো প্রস্তাব কে খারিজ করে দিতে পারে। ধরুন, সুরক্ষা পরিষদের কোনো একটি অস্থায়ী দেশ একটা প্রস্তাব দিল এবং সেই প্রস্তাবে বাকি অস্থায়ী সদস্য দেশ এবং চারটি স্থায়ী সদস্য দেশ সমর্থন করল, কিন্তু একটি স্থায়ী সদস্য দেশ 'ভিটো' ক্ষমতা দেখিয়ে অসমর্থন করল, তাহলেও সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যাবে। মোট কথা, ৫ টি স্থায়ী সদস্য দেশের সমর্থন চাই। আর ঠিক এই 'ভিটো' ক্ষমতা প্রয়োগ করে, চীন মাসুদ আজাহার কে জঙ্গি ঘোষনা করার, ভারতের প্রস্তাব কে অসমর্থন করছে। শুধু এবার নয়, আগেও অনেক ঘটনায় চীন 'ভিটো' ক্ষমতা দেখিয়ে ভারতের অনেক প্রস্তাব কে খারিজ করিয়েছ। এমনকি ভারত সুরক্ষা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ হওয়ার যে চেষ্টা করছে, সেটিও বার বার অসমর্থন করেছে চীন ও পাকিস্তান। কেন অসর্মথন করছে, সে বিষয়ে অন্য একটি আর্টিকেল এ লিখব।
আরও পড়ুন : ভোটে এবার সিমকার্ড ছাড়াই কথা বলুন, এসে গেল নতুন সিস্টেম
আমাদের ভারতবর্ষ সুরক্ষা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ হওয়ার জন্যে আবেদন করে চলেছে এবং এই স্থায়ী সদস্য দেশ হওয়ার জন্যে ভারত, ব্রাজিল, জার্মান ও জাপান - এই চার দেশ নিজেদের সমর্থনে 'G-4' নেশন তৈরী করেছে। যারা নিজেদের কে সমর্থন করবে স্থায়ী সদস্য দেশ হওয়ার জন্যে। শুধু এই ৫ টি দেশ কেন সুরক্ষা পরিষধের স্থায়ী সদস্য দেশ হবে? এবং কেন শুধুই এরা 'ভিটো' ক্ষমতা দেখাবে ? এই নিয়ে ইতালি, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, স্পেন, কলম্বিয়া বার বার রাস্ট্রপুঞ্জের বিরোধিতা করে এসেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তৈরী হওয়া সুরক্ষা পরিষদের এই 'ভিটো' ক্ষমতার নিয়ম, আজকের পটভূমিতে কতটা যুক্তিপূর্ণ, সে'বিষয়ে বহু প্রশ্ন উঠে এসেছে বার বার।
বি:দ্র: পোস্ট টি তথ্যপূর্ন হলে নীচের শেয়ার বাটনে গিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করুন। সবাই কে জানতে সাহয্য করুন।
টু'ডে বেঙ্গলি নিউজ : আপনি হয়তো ভাবছেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, রাশিয়ার সম্মতি থাকার পরেও চীন কোন ক্ষমতাবলে, মাসুদ আজাহার কে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষনায় বাধা দিচ্ছে? এর একটিই উত্তর সেটি হল 'ভিটো' ক্ষমতা। অনেকেই হয়তো 'ভিটো ( VETO) ' ক্ষমতা সম্পর্কে জানেন, কিন্তু যারা জানেন তারা জেনে নিন, 'ভিটো' ক্ষমতা কি?
রাস্ট্রপুঞ্জের ৬ টি বিভাগের মধ্যে একটি হল সুরক্ষা পরিষদ। এই সুরক্ষা পরিষদের কাজ হল, সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুরক্ষা দেখভাল করা, যুদ্ধের পরিবেশ তৈরী না করা, সন্ত্রাসবাদী কার্যকালাপ কে বন্ধ করা, বিভিন্ন দেশের যে সীমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঝামেলা, সব কিছু সুরক্ষা বিষয় দেখাশোনা করা। এই সুরক্ষা পরিষদের ১৫ টি সদস্য দেশ আছে। তার ভেতর ৫ টি স্থায়ী সদস্য এবং ১০ টি অস্থায়ী সদস্য দেশ। ৫ টি স্থায়ী সদস্য দেশ গুলি হল - আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও চীন। এই ৫ টি দেশ 'Big 5 ' বা, 'Pi 5 ' নামে পরিচিত। সুরক্ষা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ কখনও পরিবর্তন হয় না। কিন্তু অস্থায়ী সদস্য দেশ গুলি পরিবর্তন হতে পারে । আমাদের ভারতবর্ষ অস্থায়ী সদস্য দেশ গুলির মধ্যে আছে। এমন কি, কোরিয়া, জার্মানি, জাপানের মত শক্তিশালী দেশ গুলিও অস্থায়ী সদস্যের মধ্যে। এখন প্রশ্ন হল ওই ৫ টি দেশ কেন স্থায়ী সদস্য ?
আরও পড়ুন : সাবধান হয়ে যান ! অনলাইন জব পোর্টালে প্রতরনা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাস্ট্রপুঞ্জ সুরক্ষা পরিষদ তৈরী করে। এবং বিশ্বের সব থেকে শক্তিধর দেশ হিসেবে সুরক্ষা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ হিসেবে ওই ৫ টি দেশকে বিবেচিত করা হয়। যারা সারা বিশ্বের সুরক্ষা বিষয় কে দেখভাল করে। আর এই ৫ টি দেশের কাছেই আছে 'ভিটো' ক্ষমতা। 'ভিটো' কি? 'ভিটো' হল সেই ক্ষমতা, যেটির মাধ্যমে সুরক্ষা পরিষদের কোনো স্থায়ী সদস্য দেশ, রাস্ট্রপুঞ্জের যেকোনো প্রস্তাব কে খারিজ করে দিতে পারে। ধরুন, সুরক্ষা পরিষদের কোনো একটি অস্থায়ী দেশ একটা প্রস্তাব দিল এবং সেই প্রস্তাবে বাকি অস্থায়ী সদস্য দেশ এবং চারটি স্থায়ী সদস্য দেশ সমর্থন করল, কিন্তু একটি স্থায়ী সদস্য দেশ 'ভিটো' ক্ষমতা দেখিয়ে অসমর্থন করল, তাহলেও সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যাবে। মোট কথা, ৫ টি স্থায়ী সদস্য দেশের সমর্থন চাই। আর ঠিক এই 'ভিটো' ক্ষমতা প্রয়োগ করে, চীন মাসুদ আজাহার কে জঙ্গি ঘোষনা করার, ভারতের প্রস্তাব কে অসমর্থন করছে। শুধু এবার নয়, আগেও অনেক ঘটনায় চীন 'ভিটো' ক্ষমতা দেখিয়ে ভারতের অনেক প্রস্তাব কে খারিজ করিয়েছ। এমনকি ভারত সুরক্ষা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ হওয়ার যে চেষ্টা করছে, সেটিও বার বার অসমর্থন করেছে চীন ও পাকিস্তান। কেন অসর্মথন করছে, সে বিষয়ে অন্য একটি আর্টিকেল এ লিখব।
আরও পড়ুন : ভোটে এবার সিমকার্ড ছাড়াই কথা বলুন, এসে গেল নতুন সিস্টেম
আমাদের ভারতবর্ষ সুরক্ষা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ হওয়ার জন্যে আবেদন করে চলেছে এবং এই স্থায়ী সদস্য দেশ হওয়ার জন্যে ভারত, ব্রাজিল, জার্মান ও জাপান - এই চার দেশ নিজেদের সমর্থনে 'G-4' নেশন তৈরী করেছে। যারা নিজেদের কে সমর্থন করবে স্থায়ী সদস্য দেশ হওয়ার জন্যে। শুধু এই ৫ টি দেশ কেন সুরক্ষা পরিষধের স্থায়ী সদস্য দেশ হবে? এবং কেন শুধুই এরা 'ভিটো' ক্ষমতা দেখাবে ? এই নিয়ে ইতালি, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, স্পেন, কলম্বিয়া বার বার রাস্ট্রপুঞ্জের বিরোধিতা করে এসেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তৈরী হওয়া সুরক্ষা পরিষদের এই 'ভিটো' ক্ষমতার নিয়ম, আজকের পটভূমিতে কতটা যুক্তিপূর্ণ, সে'বিষয়ে বহু প্রশ্ন উঠে এসেছে বার বার।
বি:দ্র: পোস্ট টি তথ্যপূর্ন হলে নীচের শেয়ার বাটনে গিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করুন। সবাই কে জানতে সাহয্য করুন।